স্বদেশ ডেস্ক:
পবিত্র কুরআন হলো ঐশী আলো। যে আলো ছাড়া তমশাচ্ছন্ন দুনিয়া আলোকিত হতে পারে না। আর এই কুরআন হিফজ করার মর্যাদাও অনেক বেশি। হাফেজ হওয়ার কারণে তাকে সব সময় কুরআন মাজিদ চর্চা করতে হয়, এতে সে প্রতি হরফে ১০টি নেকি লাভ করে। এভাবে সাধারণ মানুষের নেকি অর্জনের ক্ষেত্রে সে থাকে অগ্রগামী। কিয়ামতের দিনও একজন হাফেজে কুরআন বাড়তি মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হবেন। হজরত আয়েশা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘কুরআন মাজিদে দক্ষ ব্যক্তি পরকালে সম্মানিত নেককার লিপিকার ফেরেশতাদের সাথে থাকবে। যে ব্যক্তি কষ্ট করে কুরআন পড়ে সে দু’টি পুরস্কার পাবে।’ (বুখারি-৪৯৩৭)
কুরআনের হাফেজ আখিরাতে ফেরেশতাদের সাথে অবস্থান করবেন। তিনি যদি জান্নাতবাসী হতে পারেন, তাহলে জান্নাতে প্রবেশের পর কুরআন হিফজের বদৌলতে জান্নাতের বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে ওপরের দিকে উঠবেন তার মুখস্থ থাকা শেষ আয়াতটি পড়া পর্যন্ত।
হজরত আলী রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কুরআন মাজিদ তিলাওয়াত ও মুখস্থ রেখেছে এবং এর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম মেনেছে, তাকে আল্লাহ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের এমন ১০ জন লোক সম্পর্কে তার সুপারিশ কবুল করবেন, যাদের প্রত্যেকের জন্য জাহান্নাম আবশ্যক ছিল।’ (তিরমিজি-২৯০৫)
কুরআন তিলাওয়াত মুুমিনের হৃদয় আলোকিত করে। কুরআন তিলাওয়াতের সুর ও শব্দ মুমিনের অন্তরের ভিত কাঁপিয়ে দেয়, যা তিলাওয়াত করলে জান্নাত ও জাহান্নামের চিত্র চোখের সামনে ভেসে ওঠে। কুরআন মাজিদই একমাত্র কিতাব, যা পাঠ করার সাথে সাথে মনে মহান আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হয়। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- ‘মুমিন তো তারাই, আল্লাহর কথা স্মরণ হওয়া মাত্রই যাদের অন্তরসমূহ কেঁপে ওঠে। আর যখন তাদের সামনে কুরআন তিলাওয়াত করা হয়, তখন তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং তারা তাদের রবের ওপরই ভরসা করে।’ (সূরা আনফাল-২)
আল্লাহ তায়ালা বান্দার প্রতি রহমত প্রদানে ইরশাদ করেন- ‘আর যখন কুরআন মাজিদ পড়া হয়, তখন তা মনোযোগ দিয়ে শোনো এবং চুপ থাকো, যাতে তোমাদের প্রতি রহমত বর্ষিত হয়।’ (সূরা আরাফ-২০৪)
লেখক : পরীক্ষক : ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা